জুমআর নামাজে দুই আজান কিভাবে আসলো?
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) এর সময় জুমআর নামাজের আজান ছিল একটি। হযরত আবু বকর ও ওমর (রা) এর সময় ও একই বিধান ছিল। সর্বপ্রথম হযরত ওসমান (রা) এর সময় দুই আজানের প্রচলন হয়। তখন মসলিমদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সবাই শুনতে পেত না। তাই জুমআর জামাজের সময় হলে শুরুতে একটি আজান দিয়ে পরে ২য় আজান দিয়ে খুতবা ও নামাজ পড়া হত। হযরত ওসমান (রা) এর শাসনামলে তিনি একবার মাররুজ জাহরান ভ্রমন করেন। এই জায়গাটি ছিল মক্কা বিজয়ের সময় রাসুলুল্লাহ (স) যেখানে অবস্থান নিয়েছিলেন সেই জায়গা। সেখানে যাওয়ার পর সকল সাহাবী হযরত ওসমান (রা) কে জানান যে তারা জুমআর খুতবা শুনতে পারছেন না। তখন সকল সিনিয়র সাহাবী (যারা নবুয়াতের পর থেকে হুদায়বিয়ার সন্ধি পর্যন্ত ইসলাম গ্রহন করেছিলে, তাদের সংখ্যা প্রায় ৩০০০ এর মত) একত্রে বসে সিদ্ধান্ত নিলেন যে, দুইটা আজান হবে যার প্রথমটি দেয়া হবে সকলে প্রস্তুত হয়ে নামাজে আসার।জন্য আর ২য় টি দিয়ে নামাজ শুরু করা হবে। এভাবে মূলত দুই আজানের প্রচলন হয়। চমতকার ব্যাপার হচ্ছে যে, আব্দুল মালেক বিন মারওয়ানের ছেলে হিশাম বিন আব্দুল মালেক এর সময় লোকেরা দূর দুরান্ত থেকে কাজ শেষ করে ফিরে এসে আজান শুনে প্রায়ই ২য় আজানকে প্রথম মনে করতো বিধায় তারা অনেক দেরি করে নামাজে উপস্থিত হত। তখন হিশাম বিন মারোয়ান তাদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেন যে, প্রথম আজান হবে মুসল্লিদের জন্য সতর্কতাবশত। যেন তারা প্রস্তুত হয়ে নামাজে আসতে।পারে আর ২ য় আজান দেয়া হবে মসজিদের ভিতর আস্তে আস্তে। যার ফলে বিভ্রান্তি কেটে যাবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের জ্ঞান আরো বাড়িয়ে দিন। ছোটখাটো কিছু বিষয় নিয়ে উম্মতের মধ্যে যে বিভাজন আল্লাহ তায়ালা তা দূর করে দিন। (আমীন)
Comments
Post a Comment