বাংলাদেশ : দায়ী ইলাল্লাহর জমিন

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ মেহেরবানী তিনি আমাকে ও আমাদেরকে এই দেশে পাঠিয়েছেন। জনসংখ্যার দিক থেকে ২য় বৃহত্তম মুসলিম এই দেশ ইসলামি দাওয়াহ ও দায়ী ইলাল্লাহর উপযুক্ত একটি জমিন। সর্বপ্রথম ৬২০ খৃষ্টাব্দে প্রখ্যাত সাহাবী আবু ওয়াক্কাস (রা:), হযরত কাসেম ইবনে হুজাইফা (রা), উরওয়াহ ইবনে আসাসা (রা) এবং আবু কায়েস ইবনে হারিস (রা) এই দেশের চট্টগ্রাম ও সিলেট শহরে দ্বীন প্রচারের জন্য আসেন।৬২০ থেকে ৬২৬ সাল পর্যন্ত তারা এখানে দাওয়াতি কাজ পরিচালনা করেন৷  ৬৯০ সালে এখানে প্রথম মসজিদ নির্মিত হয়। যার নাম সাহাবায়ে কেরাম জামে মসজিদ ( বর্তমান নাম : হারানো মসজদ)। হযরত ওমর (রা) এর সময়ে মামুন ও মুহাইমেন (রা) এখানে ইসলাম প্রচারের জন্য আসেন। ৭৮৮ সালে আব্বাসীয় খলীফার সময়ে ও এখানে দ্বীন প্রচারের কাজ পুরোদমে চলতে থাকে। পরবর্তীতে ১০৫৩ সালে শাহ মুহাম্মদ রুমী, ১২০৪ সালে বখতিয়ার খলজী, ১৩০৩ সালে শাহজালাল ইয়ামেনী (র), ১৪১২-১৪১৪ সালে খান জাহান আলী (র), ১৫১৬ সালে আলাউদ্দিন হুসাইন শাহের আমলে এতো বেশি ইসলামি প্রচারক এখানে আসেন যে তখন চট্টগ্রামের নামই হয় 'দারুল ইসলাম'। বৃটিশ শাসনামলে ১৭৫৭ এর পর হযরত শাহ আব্দুল আজিজ (র), সৈয়দ আহমদ বেরলবী (র),  হাজী শরীয়ত উল্লাহ, শহীদ তিতুমীর (র) সহ অসংখ্য ওলী ও বিপ্লবীর মাধ্যমে এই দেশে ইসলামি প্রচার প্রসার হয়েছে। বর্তমানেও পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ওয়াজ মাহফিল তাফসীর ও দাওয়াতী কার্যক্রম হয় এই দেশে। তবে যুগে যুগে ফেরাঊন, নমরুদ ও গৌর গোবিন্দের প্রেতাত্মারা ক্ষমতার মসনদে বসে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে দায়ীদের দ্বীন প্রচারের কাজকে বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছে। কিন্তু ইসলামী ইতিহাস বলছে,মিসরে যেমন  সাইয়েদ কুতুব ও হাসান আল বান্নাদের ঠেকাতে পারেনি নব্য  আবু জাহেল প্রেসিডেন্ট নাসের, তুরস্কে সায়ীদ বদিউজ্জামান নুরসীকে দমিয়ে রাখতে গিয়ে চিরতরে বিদায় হয়েছে সে সময়ের নমরুদ গং।  ইরানে ইসলামি বিপ্লবীদের জোয়ারে ভেসে গেছে রেজা শাহ পাহলবী। তেমনিভাবে এই দেশেও জেল,জুলুম, নির্যাতন হত্যা, গুম, জোরপূর্বক দেশত্যাগ সহ কোন ভাবেই দ্বীনী আন্দোলন ও দাওয়াত বন্ধ করা যাবে না ইনশাল্লাহ। এই বাংলাদেশ দায়ী ইলাল্লাহর জমিন।আল্লাহর এই জমিনে চিরকাল দায়িদের পদচারণা থাকবেই, ঠেকাবার ক্ষমতা কারো নাই।

Comments

Popular posts from this blog

Japan and atomic bomb.

Hazrat Omar (R)

Class eight : paraphrase